আবু সাঈদ হত্যার সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:২৮ অপরাহ্ণ
আবু সাঈদ হত্যার সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে রংপুরে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ১২ সদস্যের একটি দল। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার এসএম মইনুল করিম দলের নেতৃত্বে আছেন। সোমবার, তারা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং হত্যাকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন করেন এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

এছাড়া, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শওকত আলীর সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলেছেন। রোববার রাতে তারা রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবুনপুর গ্রামে গিয়ে আবু সাঈদের বাড়ি ও কবর পরিদর্শন করে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে হত্যাকাণ্ডের তথ্য সংগ্রহ করেন এবং হত্যার বিষয়ে জানেন এমন সদস্যদের জবানবন্দি নেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর প্রসিকিউটর এসএম মইনুল করিম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিশ্চিত করতে চায় যে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার আন্তর্জাতিক মানে হবে। তিনি জানান, আবু সাঈদ হত্যা মামলার অভিযোগ এক সপ্তাহ আগে দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত দ্রুত শেষ করে মামলা দায়ের করা হবে। এরপর আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান চালাবে।

ব্যারিস্টার মইনুল আরও জানান, রংপুরে জুলাই আন্দোলনে নিহত সকল শহিদদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিযুক্ত করা হবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়, তবে কেউ হত্যার দায় থেকে মুক্তি পাবে না।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এটি একটি পৃথক মামলা এবং পূর্বের মামলা তার নিজস্ব গতিতে চলবে, যা ট্রাইব্যুনালের মামলায় প্রভাব ফেলবে না।

সোমবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে তদন্ত দল বেরোবির সামনে শহিদ আবু সাঈদ চত্বরে পৌঁছায় এবং হত্যার স্থান পরিদর্শন করে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুলি করার দৃশ্য দেখে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং সেখানে ‘এস্কেচ ম্যাপ’ তৈরি করে। পরে তারা উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে গিয়ে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মূল ফুটেজ সংগ্রহ করেন।