পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি আদেশ জারি হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:৪২ পূর্বাহ্ণ
পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি আদেশ জারি হয়েছে।

মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পরীমনি আদালতে উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত আজ রোববার এ আদেশ দেন। পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একই মামলায় পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত জানান, নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ছিল আজ। তবে পরীমনি তার পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করেন, যা আদালত নাকচ করে দেন এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরীমনি আদালতে উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গত বছরের ১৮ এপ্রিল, নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদন গ্রহণ করে ঢাকার সিজেএম আদালত। সেই সঙ্গে পরীমনিকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির নির্দেশনা দেন।

২০২২ সালের ১৮ জুলাই মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ পরীমনি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করেন। মামলায় নাসির অভিযোগ করেন যে, ২০২১ সালের ৮ জুন পরীমনি ও তার সহযোগীরা সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে অ্যালকোহল পান করেন এবং পরে তাকে হুমকি দেন। একপর্যায়ে পরীমনি একটি গ্লাস ছুড়ে মারেন, যা তার শরীরে আঘাত হানে।

এ বিষয়ে পিবিআই তদন্ত করে এবং পরীমনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্তে পরীমনির ছোড়া গ্লাসের ঘটনায় নাসিরের আঘাত পাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়, এবং জুনায়েদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও প্রমাণিত হয়।

অন্যদিকে, ২০২১ সালের জুনে পরীমনি ব্যবসায়ী নাসিরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছিলেন, যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।