অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ বিপদময় প্রভাব পড়ছে।

রাজশাহী জেলায় প্রায় ২০০টি ইটভাটা রয়েছে, তবে বৈধভাবে শুধু ৮টি। এই ইটভাটাগুলি লোকালয় এবং ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক। কয়েকটি অবৈধ ভাটায় করাতকল বসিয়ে কাঠ পোড়ানোর কাজও হচ্ছে, যা পরিবেশকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বরেন্দ্রভূমির টিলা এবং কৃষি জমি কেটে ইট তৈরির কারণে উর্বরতা কমে যাচ্ছে। পরিবেশবিদদের দাবি, প্রশাসন এসব সমস্যার দিকে নজর না দিয়েই আর্থিক সুবিধার জন্য এসব কার্যক্রমে ছাড় দিয়ে যাচ্ছে।
বাগমারা উপজেলার শ্রীপুরে একটি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে, যেখানে করাতে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এ ধরনের ভাটাগুলির ধোঁয়া পরিবেশে দূষণ সৃষ্টি করছে। রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় আরও অনেক অবৈধ ইটভাটা রয়েছে, যেখানে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, যদিও তাদের ট্রেড লাইসেন্স এবং ভ্যাটের কাগজপত্র রয়েছে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বসতি এলাকা, পাহাড়, বন ও জলাভূমির এক কিলোমিটার ভিতরে কোনো ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না এবং কৃষিজমিতে ইটভাটা নির্মাণ অবৈধ। কিন্তু রাজশাহীতে অধিকাংশ ইটভাটা এই আইন মানছে না। এসব ভাটার কালো ধোঁয়ায় বায়ু দূষিত হচ্ছে এবং বিশেষভাবে শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
রাজশাহীতে কাগজে কলমে ১৩০টি ইটভাটা থাকলেও, বাস্তবে প্রায় ২০০টি ভাটা চলছে। এর মধ্যে ৮টি ভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে এবং বাকিগুলো নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে বন্ধ করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন