কাউকে পাওয়া যায়, আবার কাউকে পাওয়া যায় না।

কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের নন্দাখালী এলাকার দুই কিশোর, সৈয়দ করিম ও রিয়ান, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী মুড়াপাড়া এলাকার তারেক নামে এক যুবক দ্বারা প্রতারণার শিকার হন। ২১ জানুয়ারি তাদের নিয়ে যায় তারেক, এরপর ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু তাদের পরিবার টাকা পরিশোধ করতে না পারায়, তারেক তাদের অন্য পাচারকারীর কাছে বিক্রি করে দেয়। এখনো ওই কিশোরদের কোন খোঁজ মেলেনি।
এদিকে, গোপন চক্রের মাধ্যমে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় এবং মালয়েশিয়া পাচারের ঘটনা ঘটছে। স্থানীয়রা ও রোহিঙ্গা শিবির থেকে শিশুরা, নারী ও পুরুষদের টার্গেট করে পাচারকারীরা। তারা শিশু ও যুবকদের ট্রলারে তুলে মালয়েশিয়ায় পাচার করার চেষ্টা করে এবং যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো, তাদের মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
করিমের ভাই রেজাউল জানান, মুক্তিপণ দিতে না পারায় তারেক তাদের অন্য পাচারকারীর কাছে বিক্রি করে দেয়। এই চক্রটি গ্রামে সহজসরল পরিবারগুলোর কিশোরদের লক্ষ্য করে, তারপর তাদের টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে তুলে রেখে মুক্তিপণ দাবির মাধ্যমে হাতবদল করে।
সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি, টেকনাফে পাহাড় থেকে ১৭ জনকে উদ্ধার করে নৌবাহিনী, যাদের মধ্যে ৩ জন বাংলাদেশি এবং ১৪ জন রোহিঙ্গা ছিল। এর আগেও, ২১ জানুয়ারি, ১৯ জনকে উদ্ধার করা হয়, যাদের মধ্যে দুই বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা ছিলেন। ২৪ জানুয়ারি, আরও ১৫ জন রোহিঙ্গা এবং ৫ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়, এবং ২ দালালকে আটক করা হয়।
এছাড়া, ২১ জানুয়ারি, থাইল্যান্ডে ৪২ রোহিঙ্গা অভিবাসী উদ্ধার করা হয়, যারা বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে চরে নামিয়ে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে ১২ জন শিশু ছিল। এরা জানায় যে, তারা ৭৫ জনের একটি দলে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন এবং পথে মারধর ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
২৪ জানুয়ারি, মালয়েশিয়ায় একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৩ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়, যারা পাচারের শিকার হয়ে সেখানে আটকে ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন