মিয়ানমারে প্রকৃত ক্ষমতাধর ব্যক্তি কে হবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:২৭ পূর্বাহ্ণ
মিয়ানমারে প্রকৃত ক্ষমতাধর ব্যক্তি কে হবে?

২০০১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর পর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ শুরু হয়ে তা ধীরে ধীরে সশস্ত্র সংগ্রামে রূপ নেয়, যা এখন চার বছর পার করছে। এই সময়ের মধ্যে মিয়ানমারের সংঘাতের চিত্র ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। অভ্যুত্থানকারী স্টেট অ্যাডমিনিস্টেশন কাউন্সিল (এসএসি) এখন বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং প্রতিরোধ বাহিনীর কাছে ভূমি হারাচ্ছে।

বেসামরিক ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্মেন্ট (এনইউজি) সম্প্রতি একটি সামরিক অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে তারা দাবি করেছে যে, পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফএস) এবং তাদের সহযোগী জাতিগত রেভল্যুশনারি অর্গানাইজেশনস (ইআরওএস) ২০২৪ সালের শেষে মিয়ানমারের অর্ধেকেরও বেশি এলাকা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।

এনইউজি আরও দাবি করেছে যে, তাদের (এনইউজি ও তাদের সহযোগীদের) এখন মিয়ানমারের ৪৪ শতাংশ শহরের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, আর ২৪ শতাংশ শহরে তাদের এবং জান্তা বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। যদিও এনইউজি যে এলাকা নিজেদের দখলে রাখার কথা বলছে, তার বেশিরভাগই জাতিগত বিপ্লবী গোষ্ঠীগুলোর হাতে। এসব গোষ্ঠীগুলোর অনেকেই তাদের জাতিগত সমস্যা সমাধানে বেশি মনোযোগী, বিশেষ করে তারা স্বায়ত্তশাসন চাইছে।

তবে বড় প্রশ্ন হল, প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো কি কেন্দ্রীয় সরকার পরিবর্তনে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে? তারা কি তাদের জাতিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক বিনির্মাণে সাহায্য করবে? মোটকথা, মিয়ানমারের রাজনীতিতে আসল কিংমেকার কে হতে পারবে?

আরাকান আর্মি (এএ), তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক আলায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) একত্র হয়ে তাদের প্রতিরোধ আন্দোলন আরও তীব্র করেছে, ২০২৩ সালের শেষদিকে অপারেশন-১০২৭ চালিয়ে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত, চীন হস্তক্ষেপ করার আগ পর্যন্ত, তারা ১৬টি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। ২০২৪ সালের জুনে আবার লড়াই শুরু করে এবং ল্যাশিও শহর ও মান্দালয় অঞ্চলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করে নেয়।

আরাকান আর্মি বর্তমানে মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী, এবং তাদের সামরিক সাফল্য