সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী ও গভীর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প এবং স্টারমার।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:৪০ পূর্বাহ্ণ
সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী ও গভীর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প এবং স্টারমার।

যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক বর্তমানে বেশ উষ্ণ এবং তা আরও শক্তিশালী করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। গত রবিবার দুই নেতার মধ্যে এক ফোনালাপে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা হয় এবং তারা শিগগিরই বৈঠক করার পরিকল্পনা জানিয়েছেন। ডাউনিং স্ট্রিটের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

জুলাই মাসে ব্রিটেনে নতুন লেবার সরকারের নির্বাচিত হওয়ার পর তারা ট্রাম্পের দলের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এক সময় ট্রাম্পকে ‘টুপি পরা অত্যাচারী’ বলে মন্তব্য করা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি, এখন তার অনুগ্রহের প্রশংসা করেছেন। শনিবার, ট্রাম্প স্টারমারের কাজের প্রশংসা করেন। তবে এর আগে, ট্রাম্পের বন্ধু ইলন মাস্কের সমালোচনার মুখে পড়েন স্টারমার।

এই উষ্ণ সম্পর্কের এক কারণ হতে পারে সামরিক বাজেট বাড়ানোর বিষয়। যদিও তাদের ফোনালাপে বিষয়টি আলোচিত হয়নি, তবে ট্রাম্প এর আগেই মন্তব্য করেছিলেন, পশ্চিমা সামরিক জোটের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোর সামরিক ব্যয় বাড়ানো উচিত।

যুক্তরাজ্যও কিছু কারণে আগ্রহী। বিশেষত, মরিশাসের সঙ্গে চাগোস দ্বীপ নিয়ে চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন পেতে তারা চেষ্টা করছে।

ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, ফোনালাপে দুই নেতা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন। ট্রাম্প ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রতি তার শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেছেন। তারা ভবিষ্যত বৈঠকে আরও বিস্তারিত আলোচনা করার আশা প্রকাশ করেছেন।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প ব্রিটিশ রাজপরিবারের একজন দীর্ঘদিনের ভক্ত। তিনি রাজপরিবারকে শুভকামনা জানান। স্টারমার তার দেশের অর্থনীতি উন্নয়নের জন্য ট্রাম্পের সাহায্য চাইছেন, বিশেষ করে নতুন বিনিয়োগের উৎস খুঁজে বের করার জন্য।

এছাড়া, ফোনালাপে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিও উঠে এসেছে। স্টারমার গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা নিয়ে দুই দেশের যৌথ কাজ করার আশা প্রকাশ করেছেন।