পরিবেশ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বায়ুদূষণ কমানো একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:০২ অপরাহ্ণ
পরিবেশ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বায়ুদূষণ কমানো একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ুদূষণ কমানো একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, যা দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা, উন্নয়ন পরিকল্পনা, এবং পরিবহন ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের বায়ুদূষণের ৩০-৩৫ শতাংশ আসে বিদেশ থেকে এবং ২৮ শতাংশ আসে পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে। তাই দূষণ কমাতে একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন।

তিনি বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক পরামর্শ কর্মশালায় এসব মন্তব্য করেন। রিজওয়ানা বলেন, জ্বালানির মান উন্নত এবং রিফাইনারি সক্ষমতা বাড়ানো না হলে দূষণ কমানো সম্ভব হবে না। তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে রিফাইনারি উন্নত হলেও তারা এখনও দূষিত শহরের তালিকায় রয়েছে, তাই বাংলাদেশকেও দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, প্রকল্পগুলো তখনই সফল হবে, যখন তা বাস্তবায়ন হবে এবং স্পষ্টভাবে দূষণ কমানোর অগ্রগতি দেখা যাবে। শুধু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলেই হবে না, কার্যকর পদক্ষেপও নিতে হবে। তিনি জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর একটি হটলাইন চালু করবে, যাতে জনগণ শীতকালীন মাসে বায়ুদূষণের অভিযোগ জানাতে পারে।

সড়ক বিভাজকে গাছ লাগিয়ে ধুলাবালি কমানো সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন, যা ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু সংলগ্ন এলাকায় দেখা গেছে। তিনি আরও বলেন, দূষিত ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ২০ বছরের পুরনো বাসগুলোর সড়কে চলাচল বন্ধ করতে হবে।

রিজওয়ানা বলেন, প্রকল্পগুলো এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে যাতে জনগণ বায়ুর গুণগত মানের উন্নতি দেখতে পায়। ধুলাবালির দূষণ ১৩ শতাংশ কমানো এবং শিল্প কারখানার নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা গেলে আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারব। তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যে এই প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদেরও এতে যুক্ত করা প্রয়োজন, যাতে প্রকল্পটি দেশের প্রকৃত চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়।