এবার নির্বাচন কমিশন আইন পর্যালোচনার কাজ করছে।

এখন নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজেই নির্বাচন সংক্রান্ত আইন ও বিধি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে। তারা ভোটার তালিকা আইন, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ আইন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক নীতিমালা ইত্যাদি বিষয়ে পর্যালোচনা করছে, যদিও এসব বিষয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ আগেই এসেছে।
পর্যালোচনা শেষে, ইসি কিছু আইন সংস্কারের জন্য তাদের প্রস্তাব অন্তর্বর্তী সরকারকে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, এমন তথ্য সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন, কারণ তার মতে, এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে ইসির স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে। এর পরেই ইসি নিজেদের মতো করে আইন পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আসার আগে ইসির এই উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সংস্কার কমিশন এবং ইসির প্রস্তাবগুলির মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে বা ইসি সংস্কার কমিশনকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতে পারে।
গত অক্টোবর মাসে, অন্তর্বর্তী সরকার বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন করে। ১৫ জানুয়ারি কমিশন তাদের সুপারিশের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেছে এবং আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার কথা রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, ইসির নিজস্ব পর্যালোচনার উদ্যোগ সামনে এসেছে।
আজ, সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে ইসি চারটি গুরুত্বপূর্ণ আইন ও নীতিমালা পর্যালোচনা করবে, যেগুলোর বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ রয়েছে। তবে, ইসি এগুলোর বিদ্যমান রূপ পর্যালোচনা করবে, এবং কোনো প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, সিইসি নিজেই সংস্কার কমিশনের সুপারিশের প্রস্তাবিত আইন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন, এবং বলেছেন যে ইসির কিছু সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, তা প্রস্তাব করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন