কেন্দ্রীয় ব্যাংক বহুমুখী চাপের সম্মুখীন।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:২০ অপরাহ্ণ
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বহুমুখী চাপের সম্মুখীন।

চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন মেয়াদের দ্বিতীয় দফার মুদ্রানীতি প্রণয়ন নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একাধিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) দাবি করছে যে, মূল্যস্ফীতির হার কমা না পর্যন্ত মুদ্রানীতি আরও কঠোর করা উচিত, যার মধ্যে সুদের হার বাড়ানোরও প্রস্তাব রয়েছে। অপরদিকে, ব্যবসায়ীরা সুদের হার আর না বাড়ানোর এবং তা স্থিতিশীল রেখে ধাপে ধাপে কমানোর দাবি জানিয়েছেন। সাধারণ মানুষের চাওয়া, মূল্যস্ফীতি কমিয়ে টাকার মান ও আয় বৃদ্ধি করা হোক। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, একপাক্ষিক পদক্ষেপ নয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদের হার বাড়ানোর চিন্তা করছে, তবে এটি নিয়ে বহুমুখী চাপ রয়েছে। মুদ্রানীতির এক দফা শিথিল করা হলে অন্যদিকে চাপ বেড়ে যায়, ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক ধরনের দ্বিধায় পড়ে গেছে। নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত হলেও প্রস্তুতির কারণে এই তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। ইতোমধ্যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে এবং সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।

আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণের দাবি রাখা হয়েছে, যার মধ্যে সুদের হার বাড়ানোর কথাও রয়েছে। তবে, ঋণের সুদের হার বাড়ালে ব্যবসায়িক খরচ বৃদ্ধি পাবে এবং ঋণ প্রবাহ কমে যাবে। এদিকে, ব্যবসায়ীরা ঋণের সুদের হার বাড়ানোর বিরুদ্ধে এবং ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার পক্ষেই আছেন। তারা ঋণের প্রবাহ বাড়ানোর পক্ষে এবং সুদের হার কমানোর দাবি জানিয়েছেন।

এছাড়া, সাধারণ মানুষের চাওয়া, পণ্যের দাম কমানো, কর্মসংস্থান বাড়ানো, এবং আয় বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়া হোক। মুদ্রানীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে সাধারণ মানুষের মতামতও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এ পরিস্থিতিতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি প্রণয়নের সময় সব অংশীজনের মতামত নিয়ে একটি সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে চায়। তবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এককভাবে কোন পক্ষের চাপ বা প্রত্যাশা অনুসরণ করবে না, বরং দেশের বৃহত্তম স্বার্থে সুফল বয়ে আনবে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।