গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে পোশাক খাতে বিপদের সংকেত

দেশের বস্ত্র ও পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা নতুন গ্যাসের দাম বাড়ানোর খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, পোশাক রপ্তানি খাতে স্থবিরতা বিরাজ করছে এবং উৎপাদন খরচ বেড়েই চলেছে। জুলাই বিপ্লবের পর থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে, এবং বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির চাপ দেশেও পড়েছে। এর সাথে ব্যাংক খাতের সংকট, শ্রম অসন্তোষ এবং নিরাপত্তা ইস্যু শিল্প উৎপাদন এবং সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত করেছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরকার শিল্প খাতে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে প্রায় ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে, যা বাস্তবায়িত হলে শিল্প এবং অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বছরে ১৭,৯৭৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত খরচ হবে এবং এতে শিল্পের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা কমে যেতে পারে। তারা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা স্থগিত করার এবং অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি টেকসই মূল্য নির্ধারণের নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পোশাক শিল্পে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি হলে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং উৎপাদন খরচ বাড়বে। এর পাশাপাশি, পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির কারণে এবং গত পাঁচ বছরে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ইতিমধ্যেই শিল্পের উৎপাদন খরচ প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
বিজ্ঞানী শওকত আজিজ রাসেল বলেন, মহামারি এবং আন্তর্জাতিক সংকটের পরেও পোশাক রপ্তানিতে কিছু ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হলেও, গত তিন বছরে রপ্তানির গতি কমেছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা স্থগিত করে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি প্রতিযোগিতামূলক ও টেকসই মূল্য নির্ধারণের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন