জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত নারীদের অর্ধেকেরও বেশি প্রতি বছর মৃত্যুবরণ করেন।

দেশে প্রতি বছর প্রায় ৮ হাজার নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হন এবং তাদের মধ্যে ৫ হাজারের বেশি মারা যান, যদিও এটি একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের অভাব, বাল্যবিবাহ, ঘন ঘন সন্তান জন্মদান এবং একাধিক যৌন সঙ্গীর মাধ্যমে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) সংক্রমণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত স্ক্রিনিং এবং কমবয়সি মেয়েদের এইচপিভি টিকা নেওয়া জরুরি। ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে এটি সহজেই চিকিৎসাযোগ্য, তবে সচেতনতার অভাবই রোগীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০৩০ সালের মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসারের ৯০% ভ্যাকসিনেশন, ৭০% স্ক্রিনিং এবং ৯০% চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশে সরকারি উদ্যোগে স্কুল ও কলেজে মেয়েদের বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে, তবে বাকি মেয়েদেরও টিকাদানে উৎসাহিত করা উচিত। গাইনোকলজিস্টরা সতর্ক করছেন যে, বাল্যবিবাহ এবং অতিরিক্ত সন্তান ধারণের কারণে এই ক্যানসার ঝুঁকি বাড়ে, এবং এটি হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস দ্বারা আরও বাড়তে পারে, যা যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন