আনু মুহাম্মদ বলেছেন, সংস্কারের কোনো প্রভাব জনজীবনে দৃশ্যমান নয়।

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন করেছেন যে, সংস্কার কোথায় হচ্ছে, কারণ জনগণের জীবনে তার কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, সংস্কারের বাস্তব প্রতিফলন জনগণের দৈনন্দিন জীবনে না হলে, তা সঠিক সংস্কার নয়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জিনিসপত্রের দাম, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং শ্রমিকদের দমনের মধ্যে কোনো সংস্কারের চিহ্ন নেই। সংস্কারের জন্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তির উপর নির্ভরশীলতা থেকে বের হওয়া দরকার।
তিনি জানান, আইএমএফের সঙ্গে চুক্তির কারণে সরকারের ট্যাক্স বাড়ানোর ফলে দাম বেড়েছে এবং সরকার ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রভাবে দেশে ধনিক শ্রেণি গড়ে উঠেছে, এবং পরিবর্তনের কথা বলা হলেও, বাস্তবে কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে, এই সরকারের সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকারকে কারখানাগুলো চালু রাখার এবং শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করতে হবে, কিন্তু তারা এই দায়িত্ব পালন না করে কারখানা বন্ধ করছে। আকরাম খান এবং মোশরেফা মিশু সহ অন্যান্য বক্তারা শ্রমিকদের পক্ষে কথা বলেন এবং শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলার অবসান, গ্রেপ্তার হওয়া শ্রমিকদের মুক্তি, এবং হয়রানি বন্ধের দাবি জানান। তারা বলেন, সরকারের কাজের মধ্যে যে অসঙ্গতি রয়েছে, তা আগের শাসনের থেকে কোনো আলাদা নয়।
আপনার মতামত লিখুন