ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতি: বাণিজ্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:২৬ অপরাহ্ণ
ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতি: বাণিজ্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। তবে তেল আমদানির ক্ষেত্রে এই শুল্ক কার্যকর হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অভিবাসী ও ফেন্টানিল প্রবেশ করছে, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি, কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্যই তিনি এই শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ট্রাম্প আরও জানান, তিনি চীনের ওপরও নতুন শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা করছেন। যদিও আগে ১০ শতাংশ হারের কথা বলা হয়েছিল, তবে সেটি আরও বাড়তে পারে। তিনি অভিযোগ করেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল সরবরাহ করছে, যার ফলে হাজার হাজার মার্কিন নাগরিক মারা যাচ্ছে। ফলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ নতুন করে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

ট্রাম্পের ঘোষণার পর কানাডা ও মেক্সিকো পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। দেশ দুটি জানিয়েছে, তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত-সংক্রান্ত উদ্বেগ দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের ৪০ শতাংশই আসে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে। যদি এই তেলের ওপর শুল্ক বসানো হয়, তবে এর প্রভাব সরাসরি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচে পড়বে। কারণ, জ্বালানির দাম বাড়লে উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাবে, যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বৃদ্ধি পাবে।

শুল্ক হলো আমদানি করা পণ্যের ওপর কর, যা সাধারণত সেই পণ্যকে আরও ব্যয়বহুল করে তোলে। এর ফলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যগুলোর বিক্রি বাড়তে পারে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে সহায়তা করে। তবে অনেক বিশ্লেষকের মতে, জ্বালানির ওপর শুল্ক বসানো হলে তা উল্টো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, তেলের দাম বেড়ে গেলে শিল্পখাতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা অর্থনীতিতে মন্দার ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

এখন দেখার বিষয়, কানাডা ও মেক্সিকো কী ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ নেয় এবং চীন কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। ট্রাম্পের শুল্ক নীতির ফলে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জটিল হতে পারে।