জুলাই আন্দোলনে চোখে আঘাতপ্রাপ্তদের চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর থেকে আসা বিশেষজ্ঞ দল

জুলাই আন্দোলনে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে শুরু করেছেন সিঙ্গাপুর থেকে আসা পাঁচজন বিখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞের একটি দল। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই দলের চিকিৎসকরা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইওএন্ডএইচ) এবং বাংলাদেশ চক্ষু হাসপাতালে শতাধিক রোগীর চোখ পরীক্ষা করেছেন এবং তাদের চিকিৎসা মূল্যায়ন করেছেন।
চিকিৎসক দলের সদস্যরা সিঙ্গাপুরের নামকরা হাসপাতাল থেকে এসেছেন, তাদের মধ্যে মাউন্ট এলিজাবেথ নোভেনা হাসপাতালের চক্ষু ও কর্নিয়া সার্জারির প্রধান ডোনাল্ড ট্যান, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের অফথালমোলোজির ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর ব্লাঞ্চ লিম, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল আই সেন্টারের সহযোগী অধ্যাপক ও রেটিনা সার্জন রোনাল্ড ইয়োহ, মাউন্ট এলিজাবেথ নোভেনা হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট এবং রেটিনা বিশেষজ্ঞ নিকোল ট্যান এবং সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল আই সেন্টারের কনসালট্যান্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ রুবেন ফু রয়েছেন।
এই দলটি দুটি হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে, রোগীদের জন্য ভবিষ্যতের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রোটোকল সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করবে। আগামীকাল রবিবার তারা আরও রোগী দেখবেন এবং সোমবার রাতে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।
এটি সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আসা চতুর্থ চক্ষু বিশেষজ্ঞ দল, যাদের মাধ্যমে গত বছরের জুলাই আন্দোলনে চোখে আঘাতপ্রাপ্তদের উন্নত চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এর আগে একটি চীনা, একটি নেপালি এবং একটি ফরাসি দলও চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে এসেছিল।
চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে রোগীদের চিকিৎসা মূল্যায়ন করেছেন এবং পরবর্তীতে কী করণীয় তা নির্ধারণ করবেন। যদি রোগীদের আরও চিকিৎসা প্রয়োজন হয়, তবে চিকিৎসকদের আরেকটি দল আসবে। বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে, সে সম্পর্কেও পরামর্শ দেওয়া হবে।
ডা. রোনাল্ড ইয়োহ বলেন, ‘আন্দোলনের সময় চক্ষু হাসপাতালগুলো বিশাল চাপের মধ্যে থেকেও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে চিকিৎসা প্রদান করেছে, যা আমরা মুগ্ধ হয়ে দেখেছি।’
আপনার মতামত লিখুন