ভারতে করমুক্ত আয়ের সীমা বাংলাদেশের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।
![ভারতে করমুক্ত আয়ের সীমা বাংলাদেশের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।](https://timesbarta.com/wp-content/uploads/2025/02/Screenshot_20250202-010612_Chrome.jpg)
ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন, যেখানে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য কর সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। তিনি করমুক্ত আয়ের সীমা ১২ লাখ রুপি নির্ধারণ করেছেন, যার মানে ভারতীয় নাগরিকরা বছরে ১২ লাখ রুপি পর্যন্ত আয় করলে কোনো আয়কর দিতে হবে না। বিজেপি সরকার এই পদক্ষেপটিকে আমজনতার জন্য একটি ‘বিশেষ উপহার’ হিসেবে দাবি করছে।
এদিকে, বাংলাদেশের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা রাখা হয়েছে। এর ফলে, ভারতের নাগরিকদের করমুক্ত আয়ের সীমা বাংলাদেশের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি—ভারতীয় ১২ লাখ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকার সমান।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বাজেট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেছেন, “এটি গুলির আঘাতে ব্যান্ড এইড!” তিনি বলছেন, বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ভারতের অর্থনৈতিক সংকটের স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন, কিন্তু বর্তমান সরকার এর জন্য কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাজেটকে “আম আদমির বাজেট” হিসেবে অভিহিত করেছেন, এবং বলেছেন, এটি ১৪০ কোটি ভারতীয়ের স্বপ্নপূরণের বাজেট।
নির্মলা সীতারমন কৃষি, নারী উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে বিদ্যুৎ, কৃষি ও ক্ষুদ্র শিল্পে সংস্কারের কথা উল্লেখ করা হয়। ‘স্টার্টআপ তহবিল’ এর জন্য ১০ হাজার কোটি রুপি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন, যার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো উদ্যোক্তা হতে যাওয়া নারী ও তফসিলি জাতি-উপজাতির সদস্যরা ঋণ পাবেন।
এছাড়া, বিমান শিল্পের জন্য ১২০টি নতুন বিমানবন্দর স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তবে বড় শিল্পের জন্য এবারের বাজেটে তেমন কোনো বড় পরিকল্পনা নেই। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য অনেক প্রকল্পও ঘোষণা করা হয়েছে, যেমন তাদের ক্রেডিট গ্যারান্টি ৫ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১০ কোটি রুপি করা হবে।
অর্থমন্ত্রী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও প্রযুক্তি খাতের জন্য ৫০০ কোটি রুপি ব্যয়ে ‘সেন্টার ফর এক্সেলেন্স’ স্থাপনের কথা জানিয়েছেন। মেডিকেল কলেজগুলোর আসন সংখ্যা আগামী পাঁচ বছরে ৭৫ হাজার বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, ক্যানসার ও দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ৩৬টি ওষুধের শুল্ক প্রত্যাহার এবং ৬টি জীবন রক্ষাকারী ওষুধে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদেশে উচ্চশিক্ষার ঋণ ও প্রবাসী আয়ে করের বোঝা কমানোরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন