ধনীদের কাছ থেকে বেশি কর আদায়ের প্রস্তাব

ধনীদের কাছ থেকে বেশি কর আদায় করার সুপারিশ করেছে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত টাস্কফোর্স। তারা দেশে প্রগতিশীল করব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দিয়েছে, যার মাধ্যমে ধনীদের ওপর বাড়তি কর আরোপ করা হয়, উদ্দেশ্য হলো আয় ও সম্পদবৈষম্য কমানো।
এই টাস্কফোর্স ১১ সেপ্টেম্বর গঠিত হয়, যা দেশের টেকসই উন্নয়ন ও বৈষম্য হ্রাসের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত ও উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের ওপর কর আরোপে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত, যাতে কিছু মানুষের হাতে বেশি সম্পদ জমা না হয়। তারা ধনীদের কাছ থেকে কর আদায় বাড়ানোর পাশাপাশি কর ফাঁকি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণেরও সুপারিশ করেছে।
সম্প্রতি আয়বৈষম্য বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, এবং এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশ মানুষের হাতে দেশের মোট আয়ের ৪১ শতাংশ, যখন সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশ মানুষের আয় মাত্র ১.৩১ শতাংশ।
টাস্কফোর্সের প্রধান, বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদ জানিয়ে দিয়েছেন, যদিও প্রগতিশীল করব্যবস্থা চালু করা বেশ কঠিন, তবে এটি বৈষম্য কমানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশের করব্যবস্থা বেশি নির্ভরশীল পরোক্ষ কর, যেমন ভ্যাট, যা গরিবদের ওপর বেশি চাপ সৃষ্টি করে। আয়কর ব্যবস্থায় বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়ার কারণে ধনীরা কর ফাঁকি দেয়, যার ফলে সম্পদের ওপর সারচার্জ আদায় কম হয়।
এছাড়া, টাস্কফোর্স আরও কিছু সুপারিশ করেছে, যেমন মানসম্পন্ন শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, আঞ্চলিক উন্নয়ন, সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি, এবং লিঙ্গবৈষম্য দূর করার জন্য কাজ করা।
আপনার মতামত লিখুন