গাজা যুদ্ধবিরতি ও ইরান ইস্যুতে ওয়াশিংটনে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠক

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:১৩ অপরাহ্ণ
গাজা যুদ্ধবিরতি ও ইরান ইস্যুতে ওয়াশিংটনে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠক

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সম্প্রতি ওয়াশিংটনে গেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাদের আলোচনার মূল বিষয় গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি ও ইরান সংকট। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

বৈঠকের আগে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েলসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তিনি স্বীকার করেছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত এবং শান্তি বজায় থাকার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মুখপাত্র স্টিভ উইটকফ বলেছেন, তারা অবশ্যই আশাবাদী।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনার জন্য কাতার যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। চুক্তি চালিয়ে যাওয়ার কৌশল নিয়ে আলোচনা করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।

২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের আগেই যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। প্রথম ধাপে হামাস ১৮ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, ইসরায়েলও কয়েকশ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে ছেড়ে দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনও থমথমে। ইসরায়েলের চরম-ডানপন্থী অংশীদাররা নেতানিয়াহুকে পুনরায় যুদ্ধ শুরুর জন্য চাপ দিচ্ছে, অন্যদিকে ট্রাম্প তাকে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার জন্য চাপ দিতে পারেন। যদিও ট্রাম্প ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক, যুদ্ধবিরতি চুক্তি তার বৃহত্তর আঞ্চলিক কৌশলের অংশ।

ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিক করা এবং ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ার পরিকল্পনা করছেন। সৌদি আরব স্পষ্ট করেছে, গাজা যুদ্ধ শেষ না হলে এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের একটি বিশ্বাসযোগ্য পথ তৈরি না হলে তারা ইরানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপে অংশ নেবে না।

ট্রাম্প ইতোমধ্যে ইসরায়েলকে ২০০০ পাউন্ড ওজনের বোমা সরবরাহ পুনরায় শুরু করেছেন এবং ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে মিশর ও জর্ডানে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে তার মূল লক্ষ্য ইরানকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।