বিএসইসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াতকে আটক করা হয়েছে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার রাতে ধানমন্ডি থেকে তাকে আটক করা হয়, জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক।
ডিবি কর্মকর্তা রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি দেশের আর্থিক খাত ধ্বংসকারী এবং বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িত। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত ২০২০ সালের মে মাসে প্রথমবারের মতো বিএসইসির চেয়ারম্যান হন। চার বছর দায়িত্ব পালন করে তিনি পুনর্নিয়োগ পেয়ে ২০২৩ সালের মে মাসে পুনরায় এই পদে বসেন। কিন্তু ২০২৩ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি পদত্যাগ করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিবলী রুবাইয়াত সশরীর না গিয়ে একজন প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিভাগে যোগদানপত্র জমা দিয়েছিলেন, তবে তিনি ক্লাস নেননি। এছাড়া, ৯ অক্টোবর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিদেশযাত্রায় আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
দুদক জানিয়েছে, শিবলী রুবাইয়াতের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে এবং তিনি যেকোনো সময় দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। তার এবং তার ছেলে জুহায়ের সারার ইসলামের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে এবং তাদের সব বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
শিবলী রুবাইয়াতের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারসাজি ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তার সহায়তায় শেয়ারদামে কৃত্রিম বৃদ্ধির জন্য কারসাজি করা হত এবং তার প্রশ্রয়ে একটি চক্র শেয়ারবাজার থেকে অর্থ লোপাট করতো। এছাড়া, বিদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণের নামে রোড শো করার জন্যও তিনি ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন