ঈদের আগেই শিক্ষার্থীরা সব বই পাচ্ছে না।

চলতি শিক্ষাবর্ষে এক মাস চার দিন পেরিয়ে গেলেও প্রায় ১৮টি পাঠ্যবই এখনো ছাপানো হয়নি। এদিকে বাজারে গাইড বইয়ের ব্যাপক চাহিদা দেখা যাচ্ছে। ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান অবৈধ গাইড বই বাজারে বিক্রি করছে, যার মধ্যে লেকচার, পাঞ্জেরী, এডভান্সড, পপি, অনুপম, জননী, জুপিটারসহ ৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান এই বছরও পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ পেয়েছে, তবে তারা গাইড বইয়ের উৎপাদন বেশি করছে। গাইড বইগুলোকে এখন ‘সহায়ক বই’ বা ‘অনুশীলনমূলক বই’ নামে বাজারজাত করা হচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর নীলক্ষেত, বাংলাবাজার ও মিরপুর-১০ নম্বরে গাইড বইয়ের ব্যাপক বিক্রি দেখা গেছে। পাঠ্যবই না পেয়ে অনেক অভিভাবক গাইড বই কিনছেন। গাইড বইয়ের দাম প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বইয়ের তুলনায় অনেক বেশি, যা শিক্ষার্থীদের মুখস্থভিত্তিক পড়াশোনাকে উৎসাহিত করছে, ফলে সৃজনশীলতা এবং মেধা বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এদিকে, এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, ৪০ কোটি পাঠ্যবইয়ের মধ্যে ২২ কোটি বই ইতিমধ্যে ছাপানো হলেও, এখনও ১৮ কোটি বই ছাপানো বাকি। কাগজের সংকট এবং মূল্যবৃদ্ধির কারণে বই ছাপানোর কাজ চলছে ধীরগতিতে। শিক্ষাবিদরা গাইড বইয়ের বাজারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন, কারণ এটি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে।
এছাড়া, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অবৈধ গাইড বই বন্ধে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে গাইড বই নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের আইন ও নির্দেশনার প্রতি অবহেলা করা হচ্ছে, যদিও এ ধরনের বই বিক্রি এবং ছাপা বন্ধে আইন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন