নারী ফুটবলারদের কোচ বয়কটের বিপরীতে পাল্টা বয়কটের ঘোষণা পিটার বাটলারের

নারী ফুটবলারদের কোচ বয়কটের সিদ্ধান্তের বিপরীতে পাল্টা বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নির্দিষ্ট কয়েকজন খেলোয়াড় থাকলে তিনি এই দলের কোচিং করাবেন না।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) সাংবাদিকদের সামনে এই বক্তব্য দেন পিটার বাটলার। তিনি বলেন, “যারা বাফুফের সুবিধা গ্রহণ করে, অথচ ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলে, আমি তাদের কোচিং করাব না।”
গত কয়েকদিন ধরে গুঞ্জন ছিল, বাটলার বিদ্রোহ করা কয়েকজন ফুটবলারকে বাদ দিতে চান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি নির্দিষ্টসংখ্যক খেলোয়াড়ের কথা বলেছি, তারা থাকলে আমি কোচিং করব না। কিছু ফুটবলার অনুশীলনে যাচ্ছে না এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।”
উল্লেখ্য, বাটলার যাদের বাদ দিতে চান, তাদের অনেকেই সাফজয়ী দলে ছিলেন এবং মাঠে খেলেই বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। তবে কোচ শৃঙ্খলার প্রশ্নে কোনো ছাড় দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, “এটা কোনো ডিপার্টমেন্টাল স্টোর নয়, এখানে সমঝোতার কিছু নেই। তারা থাকলে আমি থাকব না।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ দুইবারের সাফ চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু কয়জন নারী ফুটবলার বিদেশি লিগে খেলছে? এর কারণ হলো শৃঙ্খলা। আমি ইংলিশ ফুটবল সংস্কৃতি জানি, যা এখানে চলছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।” তবে বাস্তবে সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা, মারিয়া ও সুমাইয়া বিদেশি লিগে খেলেছেন, যা কোচের অজানা।
বাফুফে ফুটবলারদের অভিযোগের তদন্তে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। কমিটি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সভাপতি বরাবর প্রতিবেদন দেবে। এর আগেই গণমাধ্যমে এভাবে কথা বলা কোচের জন্য শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাটলার নেপালে সাফ টুর্নামেন্ট চলাকালেও শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেবার এক গণমাধ্যমে তিনি বলেছিলেন, “ইংল্যান্ড হলে আমি বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় বাদ দিতাম।” অথচ সেই খেলোয়াড়রাই পরে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন।
পরবর্তীতে বাটলার নারী দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের প্রসঙ্গ টেনে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন, যা শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল। এ বিষয়ে আজ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “মেয়েরা ভুল পথে পরিচালিত হয়েছিল, আমি সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করেছি।”
আপনার মতামত লিখুন