অস্ত্র উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান পুনরায় শুরু হবে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:২৮ অপরাহ্ণ
অস্ত্র উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান পুনরায় শুরু হবে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে যৌথবাহিনী আবারও অভিযান শুরু করবে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৩টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাসার সামনে জড়ো হওয়া বিক্ষুব্ধ জনতার উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। তিনি জানান, পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি এবং কিছু মহল এগুলো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা করছে।

একই দিন নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভিযোগ অনুযায়ী, ওই সময় ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালানো হয়। এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির বিষয়ে আগামীকালকের মধ্যেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

বিক্ষোভকারীরা লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানালে উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় অনেক থানার অস্ত্রাগার লুট করা হয়, যার পেছনে স্বার্থান্বেষী মহল কাজ করেছে। পাশাপাশি, আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ ১৬ বছর রাজনৈতিক স্বার্থে অনেককে অস্ত্রের লাইসেন্স দিয়েছিল, যাদের অনেকে এখনও অস্ত্র জমা দেয়নি। যদিও বেশিরভাগ লাইসেন্সধারী অস্ত্র পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে, তবুও লুট হওয়া অস্ত্রের বড় অংশ এখনও উদ্ধার হয়নি। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশে অস্ত্র প্রবেশ করানোর মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাইছে। এ কারণে অস্ত্র উদ্ধারে নতুন করে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, “পরাজিত কোনো শক্তি যদি জনগণের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এই অভিযানের নির্দেশনা দেবে।”

অবৈধ মিছিল ও উসকানিমূলক কার্যক্রমের বিষয়ে তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যেকোনো বিশৃঙ্খলা কঠোরভাবে দমন করা হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় উসকানিমূলক মিছিলের আয়োজকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আরও গ্রেপ্তার হবে।

বিক্ষোভে উপস্থিত এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন যে থানাগুলোতে ঘুষ ও তদ্বির বাণিজ্য চলছে। জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এটি এক দিনের সমস্যা নয়, বরং ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসছে। তবে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পুলিশকে দলীয় প্রভাবমুক্ত ও জনগণমুখী করা হবে। পুলিশকে জনগণের সেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও জানান, যৌথবাহিনীর অভিযানের সময় ও এলাকা সম্পর্কে সরকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অস্ত্র উদ্ধার সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।