অর্থ উপদেষ্টা কর অব্যাহতি হ্রাস করার প্রস্তাব দিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬:৫৬ অপরাহ্ণ
অর্থ উপদেষ্টা কর অব্যাহতি হ্রাস করার প্রস্তাব দিয়েছেন।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আবারও কর অব্যাহতি কমানোর পরিকল্পনার কথা বলেছেন এবং করনীতি ও কর প্রশাসন আলাদা করার প্রস্তাবও দিয়েছেন। তিনি জানান, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজারকে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে।

আজ রোববার সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজারের নেতৃত্বে একটি দল সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। ৪ দিনের সফরে শনিবার ঢাকায় পৌঁছেছে বিশ্বব্যাংকের দলটি, যার মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, এম ফাওজুল কবির খান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ নানা সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রতিবছর প্রায় পৌনে তিন লাখ কোটি টাকার শুল্ক-কর ছাড় দেয়। ভ্যাট এবং শুল্কের ক্ষেত্রেও বড় পরিমাণে করছাড় দেওয়া হয়, যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিয়ে আসছে। উভয় সংস্থা চায়, ২০২৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে এই সব করছাড় ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা হোক।

অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, “বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চলমান অগ্রাধিকারভুক্ত কাজগুলো প্রায় সম্পন্ন হয়েছে, এবং তাদের জানানো হয়েছে যে, আমরা আরও বেশি রাজস্ব সংগ্রহ করব এবং কর অব্যাহতি কমাব। আগামী জুনের মধ্যে নতুন অর্থ আইনও আসবে।” তিনি আরও বলেন, গত ডিসেম্বরে এনবিআরের ভ্যাট দিবসে তিনি বলেছিলেন, “যতদিন আমরা করছাড় দিয়েছি, তা শিশু লালনপালনের মতো, এখন ওই শিশুরা বড় হয়ে গেছে, এবং তাদের সুরক্ষার প্রয়োজন নেই।”

আইএমএফের সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচি এবং চতুর্থ কিস্তির বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এটি এখনও জানা যায়নি, তবে মার্চে আইএমএফের পর্ষদ বৈঠক রয়েছে।” তিনি আরো জানান, “আমরা ওই অর্থের জন্য মরিয়া নই, কারণ আর্থিক হিসাব এখন ভাল।”

বৈঠক শেষে, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি বৃদ্ধির ব্যাপারে, এবং এনবিআরের করনীতি ও প্রশাসন আলাদা করার বিষয়ে ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এটি বাস্তবায়িত হবে এবং অর্থ উপদেষ্টা তাকে জানিয়েছেন, আগামী বাজেটের আগেই নতুন কর আরোপ করা হবে না।