জাবির ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি, রবিবার, সকাল ৯টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত পাঁচটি শিফটে এ পরীক্ষা হয়। সোমবার ছাত্রদের পরীক্ষা হবে চারটি শিফটে।
তবে, পরীক্ষার দিন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা নানা ধরনের অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছেন। তারা জানান, সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক এবং ক্যাম্পাসের প্রবেশপথে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। এর ফলে অনেকেই সাভারের রেডিও কলোনি ও সিএন্ডবি এলাকা থেকে পায়ে হেঁটে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এছাড়া, ক্যাম্পাসে পরিবহন ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না থাকায় অনেকেই পরীক্ষার কেন্দ্রে সময়মতো পৌঁছাতে পারেননি। যানজটের কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে কিছু শিক্ষার্থী দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে জাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী চিশতী তার ফেসবুক পোস্টে যানজটের ভয়াবহতা বর্ণনা করেছেন। তিনি জানান, অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছেন এবং তাদের পরীক্ষা দিতে না পারার আশঙ্কায় ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন।
এছাড়া, ক্যাম্পাসে অভিভাবকদের জন্য পর্যাপ্ত শৌচাগার, পার্কিং, খাবারের দাম ও সুপেয় পানির সংকট, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য সুবিধার অভাবসহ আরও অনেক সমস্যা দেখা গেছে। এ বিষয়ে কিছু অভিভাবক বিভাগীয় পর্যায়ে পরীক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি করেছে যে, তারা পরীক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে সহায়তা নিয়েছে। খাবারের দোকানে দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য অভিযানও পরিচালনা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম রাশিদুল আলম জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য কাজ চলছে এবং যানজট নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, তারা ক্যাম্পাসে শাটল বাসের ব্যবস্থা করেছেন এবং যানজট কমানোর জন্য বিআরটিসিকে অনুরোধ করেছেন। তবে, বিভাগীয় পর্যায়ে পরীক্ষা নেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে, বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন