ডাকসুকে শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্যালেন্ডারে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব উঠেছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেখতে হবে। গতকাল, রবিবার বিকেলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘ডাকসু সংলাপ: সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এই প্রস্তাব ওঠে, যেখানে শিক্ষক, ডাকসুর সাবেক এবং বর্তমান ছাত্রনেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গোলটেবিলটি ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (ডিইউডিএস) এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই) যৌথভাবে আয়োজন করে। আলোচনায় অংশ নেওয়া মাহমুদুর রহমান মান্না জানান, এবারের ডাকসু নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই নির্বাচনে যারা জয়ী হবে, তারা পরবর্তীতে দেশের নির্বাচনে সফল হওয়ার সম্ভাবনা রাখে।
অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা বলেন, ডাকসুকে একাডেমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আরও বলেন, ডাকসুর সংস্কার প্রতি পাঁচ বছর পরপর পর্যালোচনা করতে হবে।
ছাত্র নেতারা নির্বাচনের দাবির পাশাপাশি সংস্কারের গুরুত্বও তুলে ধরেন। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান জানান, তারা একটি কার্যকর ছাত্র সংসদ চান, তবে ফৌজদারি অপরাধে জড়িত ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নিতে হবে। ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী দ্রুত ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।
এছাড়া, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।
আপনার মতামত লিখুন