তদন্তের পূর্বে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৪৯ অপরাহ্ণ
তদন্তের পূর্বে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংস্কার কমিশন দুর্নীতির তদন্তের আগে অনুসন্ধান বাধ্যবাধকতা বাতিল করার সুপারিশ করেছে। কমিশন অনুযায়ী, অনুসন্ধানের বাধ্যবাধকতা দুর্নীতির ক্ষেত্রে অযৌক্তিক এবং এটি দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি করে, যার ফলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দুদকের কাজে অনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন। কমিশন ৪৭টি সুপারিশ করেছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো অনুসন্ধান বাধ্যবাধকতা বাতিল করা এবং দুর্নীতির তদন্তে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আলাদা টাস্কফোর্স গঠন করা।

এছাড়া, কমিশন দুর্নীতি প্রতিরোধে দেশের দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় কৌশলপত্র তৈরি এবং প্রতিরোধমূলক আইন প্রণয়নের সুপারিশ করেছে। দুদককে শক্তিশালী করার জন্য কমিশন প্রস্তাব করেছে, সেখানে ১০ শতাংশের বেশি প্রেষণে নিয়োগ না করা এবং অভ্যন্তরীণ প্রার্থীদের জন্য পদ সংরক্ষণ।

কমিশন রাজনৈতিক অর্থায়নে স্বচ্ছতা আনতে রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের হলফনামা প্রকাশের সুপারিশ করেছে। তাছাড়া, সরকারি এবং বেসরকারি খাতে ঘুষ লেনদেনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।

কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান জানান, সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে দুদক একটি স্বাধীন এবং কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে, তবে এর জন্য রাজনীতি ও আমলাতন্ত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন প্রয়োজন।