বিশেষ অভিযানে ১,৩০৮ জন গ্রেপ্তার।

যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হওয়ার পর, শনিবার রাত থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত ১ হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে ঢাকা থেকে এবং ৬৫ জন গাজীপুর মহানগর ও জেলা থেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। গাজীপুরের পাঁচটি থানা ও মহানগরের আট থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ৬৫ জনও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী মো. যাবের সাদেক জানিয়েছেন, জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চলছেই।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং আইন ভঙ্গ করছে, তারা গ্রেপ্তার হবে।” এর আগে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যৌথ বাহিনী দেশব্যাপী ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করেছে, বিশেষত গাজীপুরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর এই অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে মারধরের শিকার হন শিক্ষার্থীরা, যারা ডাকাতির খবর পেয়ে সেখান গিয়েছিলেন।
অভিযান শুরুর পর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, এবং বগুড়ায় বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীসহ বহু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিভিন্ন জেলা পুলিশ জানিয়েছে, এই গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পুরনো ও নতুন মামলা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন