পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:৫৫ অপরাহ্ণ
পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি নির্দেশ

দুর্নীতির মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এই নির্দেশ দেন।

তদন্ত কর্মকর্তা পরিচালক হাফিজুল ইসলাম আদালতে আবেদন করার পর এই নির্দেশনা আসে। জানা গেছে, বেনজীর আহমেদের পরিবার বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছে। ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর দুদক তার, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০২৪ সালের মার্চ ও এপ্রিলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বেনজীর আহমেদের বিপুল সম্পদের তথ্য উঠে আসে। এরপর ১৮ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরু করে। তদন্তে দেখা যায়, তার নামে ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাট, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও তিনটি বিও হিসাব রয়েছে। আদালতের নির্দেশে এসব সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

অনুসন্ধান শুরুর পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বেনজীর আহমেদ পরিবারসহ দেশ ছাড়েন। দুদক তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দফা তলব করলেও তারা উপস্থিত হননি। এরপর ২ জুলাই তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দিতে নোটিশ পাঠানো হয়, যার জবাবে আগস্টে তাদের পক্ষ থেকে আইনজীবী মাধ্যমে বিবরণী জমা দেওয়া হয়।

গত বছরের ২৩ মে আদালত বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলভুক্ত ৩৪৫ বিঘা জমি ও ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয়। ২৬ মে আরও ১১৯টি জমির দলিল, ২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে তার ৬২৭ বিঘা জমি ক্রোক করা হয়েছে এবং এসব সম্পত্তি দেখভালের জন্য রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে।

বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‌্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাব এবং এর সাতজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল।