আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধন, ট্রাইব্যুনাল ও তদন্ত কর্মকর্তার ক্ষমতা বৃদ্ধি

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:৩২ অপরাহ্ণ
আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধন, ট্রাইব্যুনাল ও তদন্ত কর্মকর্তার ক্ষমতা বৃদ্ধি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সাক্ষ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের স্বাধীনতা এবং তল্লাশি ও আলামত জব্দ করার ক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তার ক্ষমতা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধন করেছে। এই সংশোধিত আইনটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালে এই আইন সংশোধন করা হয়, বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থান দমাতে গণহত্যার অভিযোগ বিচারের প্রক্রিয়ার মধ্যে। আইনটি সংশোধনের প্রস্তাব ২০ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পায় এবং রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এর অধ্যাদেশে সই করেন।

‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ২০২৫’ নামের এই আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন করা হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এর মধ্যে, আগ্রাসনকে শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি ছাড়াই তল্লাশি ও আলামত জব্দ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, সাক্ষীর তালিকা ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করার সময়সীমা তিন সপ্তাহ করা হয়েছে, এবং ট্রাইব্যুনালকে আসামির সম্পদ অবরুদ্ধ বা জব্দ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আইনের গোপনীয়তার ধারা সংশোধন করে, মামলার নথি ও অভিযোগও গোপন রাখা হবে। ১৯ নম্বর ধারা সংশোধন করে, ট্রাইব্যুনালকে সাক্ষ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে কারিগরি নিয়মের পরিবর্তে দ্রুত এবং অ-কারিগরি পদ্ধতি গ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।