প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আয়নাঘর পরিদর্শন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আয়নাঘর পরিদর্শন

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল এবং র‌্যাব-২-এর সিপিসি-৩-এর ভেতরের সেলগুলো ঘুরে দেখেন।

পরিদর্শনে তার সঙ্গে ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সেখানে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য এবং কয়েকজন সাংবাদিকও উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, এসব ‘গোপন বন্দীশালা’ আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় অবস্থিত।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো ছবিতে দেখা গেছে, অধ্যাপক ইউনূস গোপন বন্দীশালার বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখছেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমসহ ড. ইউনূস আয়নাঘর পরিদর্শনে যাবেন।

২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনামলে ৬০৫ জনকে গোপনে বন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত ৩৪৪ জন গুমের শিকার হন, যাদের মধ্যে ৪০ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায় এবং ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেফতার অবস্থায় পাওয়া যায়।

যারা দীর্ঘদিন গুম থাকার পর ফিরে এসেছেন, তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। ধারণা করা হয়, এসব মানুষদের আয়নাঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। অধ্যাপক মোবাশার হাসান, সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায়, মাইকেল চাকমা ও মীর আহমদ বিন কাসেমসহ অনেকে এখানে বন্দি ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব স্থান ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিতি পায়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেক গুম হওয়া ব্যক্তি আয়নাঘর থেকে ফিরে এসে পরিবারের কাছে তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।