ডিসি সম্মেলনে প্রথমবার অংশ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৫৪ অপরাহ্ণ
ডিসি সম্মেলনে প্রথমবার অংশ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন

দেশের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি অধিবেশনে অংশ নিচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) একান্ত সচিব মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন, ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সিইসি, নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবের কর্মসূচি রয়েছে

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাধারণত নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আগে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। তবে এবারই প্রথমবার ডিসি সম্মেলনের একটি অধিবেশনে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ নিচ্ছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন দিনের ডিসি সম্মেলনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের কোনো অধিবেশন থাকছে না। সম্মেলন শুরুর আগের দিন, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ডিসিরা সম্মেলনস্থলে এসে নিবন্ধন ও অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করবেন। এরপর বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে তাদের ব্রিফ করা হবে।

এবারের ডিসি সম্মেলনে ৩৪টি কার্য-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় শাপলা হলে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে তার মুক্ত আলোচনা হবে। একই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভায় প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। রাতের খাবারেও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিসিদের নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ডিসিরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যায় প্রধান বিচারপতির আমন্ত্রণে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আয়োজিত আপ্যায়নে অংশ নেবেন তারা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম জানিয়েছেন, এবারের ডিসি সম্মেলনের জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছ থেকে ১ হাজার ২৪৫টি প্রস্তাব জমা পড়েছে। তার মধ্যে ৩৫৩টি প্রস্তাব আলোচনার জন্য কার্যপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অগ্রগতি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ডিসি সম্মেলনে ১১৯টি স্বল্পমেয়াদি, ১৯২টি মধ্যমেয়াদি এবং ৭০টি দীর্ঘমেয়াদিসহ মোট ৩৮১টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি সিদ্ধান্তের ৬৪ শতাংশ, মধ্যমেয়াদি ৪০ শতাংশ এবং দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তের ৩৬ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে।