কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনএইচসিআরের উদ্বেগ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:০১ অপরাহ্ণ
কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনএইচসিআরের উদ্বেগ

কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে দ্রুত অবনতিশীল পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআর। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটি বলেছে, সংঘাতের ফলে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যাদের মাথার ওপর ছাদ নেই।

রুয়ান্ডা সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা গত মাসে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম শহর গোমা দখল করে নেয়। তারা এখন দক্ষিণের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র ইউজিন বিউন সাংবাদিকদের বলেন, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের কোনো আশ্রয় নেই। কেননা তাদের অস্থায়ী শিবিরগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে বা অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ তাদের ঘরে ফেরাকে অনিরাপদ করে তুলেছে।

ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, গোমার প্রায় ৭০ শতাংশ শরণার্থী শিবির ধ্বংস হয়ে গেছে এবং মিনোভায় অন্যান্য শিবির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ এখন গির্জা ও হাসপাতালসহ অস্থায়ী আবাসনে বসবাস করছে।

সংস্থাটি কঙ্গোতে অপরাধ বৃদ্ধির কথাও জানিয়েছে। সেই সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যে রোগ বিস্তারেও ব্যাপক ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে, কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামে ‘কোডেকো’ মিলিশিয়াদের হামলায় ৮০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মনসকো। ভূমি ও সম্পদ নিয়ে লড়াইরত অনেক মিলিশিয়ার মধ্যে অন্যতম ‘কোডেকো’ প্রায়ই বাস্তুচ্যুত শিবিরগুলোতে হামলা চালায়।

কঙ্গো, জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো রুয়ান্ডার বিরুদ্ধে এম২৩-কে নিজস্ব সেনা ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করার অভিযোগ এনেছে। যদিও রুয়ান্ডা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে লড়াইয়ে কমপক্ষে তিন হাজার মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।