ডিসিরা বিশেষ বাহিনী চান

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত এবং ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। এজন্য তারা চলমান ডিসি সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের কাছে একাধিক প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। মোট ৩৫৪টি প্রস্তাবের মধ্যে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে।
মাগুরা জেলা প্রশাসক একটি ‘স্পেশাল ডেডিকেটেড রেসপন্স ফোর্স’ গঠনের প্রস্তাব করেছেন, যা জেলা প্রশাসকের অধীনে মোবাইল কোর্ট, উচ্ছেদ অভিযান, ত্রাণ বিতরণ, দুর্যোগকালীন সেবা প্রদানসহ জরুরি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে। তার মতে, জেলা পর্যায়ে বাহিনীগুলোর অফিসের দূরত্ব ও প্রস্তুতির কারণে সময়ের অপচয় হয়, যা অনেক সময় সরকারি ও জনস্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এছাড়া, ডিসিরা জেলার ম্যাজিস্ট্রেটদের অপরাধ ও জাতীয় পরিচয় ডেটাবেজে প্রবেশাধিকার দাবি করেছেন। বর্তমানে, এসব ডেটাবেজে শুধুমাত্র পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। ডিসিরা মনে করছেন, এই প্রবেশাধিকার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, ২০০৯-এর জন্য বিধিমালা তৈরি করার প্রস্তাবও এসেছে, যা আইনটির কার্যকারিতা নিশ্চিত করবে। কিছু ডিসি মোবাইল কোর্ট আইনের ধারাগুলোর অর্থদণ্ড যৌক্তিকভাবে নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছেন। গাইবান্ধা ও সাতক্ষীরা জেলার ডিসিরা পুলিশ সুপার (এসপি) ও থানার কর্মকর্তাদের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি জানিয়েছেন, কারণ বর্তমানে এ প্রতিবেদন তাদের অধীনে নেই।
সিলেট জেলা প্রশাসক পুলিশ বাহিনীর মারণাস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং পুলিশের শরীরে বডি ক্যামেরা ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা গত বছরের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে উত্থাপিত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন