বাংলা একাডেমিতে নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির প্রমাণ, দুদকের অভিযানে ১৭৫ জনের নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ

বাংলা একাডেমিতে ১৭৫ জনের নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমিতে নিয়োগ জালিয়াতির খোঁজে অভিযানে অংশ নেন দুদকের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ।
২০২২ সালে তৎকালীন মহাপরিচালক নুরুল হুদা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চাকরির আবেদন ফরম থেকে শুরু করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পদে দুর্নীতি করেছেন। তারা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে ১০ লাখ টাকা করে ঘুষ নেন বলে অভিযোগ করেছে দুদক।
দুদক জানায়, ২০২২ সালে বাংলা একাডেমি ১৮০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়। ৫০ হাজার প্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা জমা হয়। এর মধ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ঘুষ হিসেবে নেয়া হয়। এছাড়া, ৪ হাজার প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও মৌখিক পরীক্ষায় মাত্র ৫০০ জনকে ডাকা হয়, কিন্তু ফল প্রকাশ না করেই ১৭৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
দুদক তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে যে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকে স্থায়ীকরণ, আত্মীয়-স্বজন এবং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়মের লঙ্ঘন করে চাকরি দেয়া হয়েছে। এমনকি কর্মচারী নিয়োগে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম জানিয়েছেন, অতীতে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগের বিষয়ে তিনি শুনেছেন। তিনি বলেন, “অপরাধের প্রমাণ মিললে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাই।”
দুদক বলছে, যারা রাজনৈতিক প্রভাব এবং কর্মকর্তাদের খেয়ালখুশি মতো নিয়োগে দুর্নীতি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন