কুয়েটে কেন সংঘাত হচ্ছে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কী ঘটছে?

কুয়েটের বর্তমান সংঘাত এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন মনোজ দে। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে শতাধিক ছাত্র আহত হয়েছে। সংঘর্ষের ভিডিওতে ইটপাটকেল, লাঠিসোঁটা এবং ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার দেখা গেছে। এই সংঘর্ষের জন্য উভয় পক্ষ একে অপরকে দায়ী করেছে, এবং এর ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটে প্রতিবাদ মিছিল এবং আন্দোলন শুরু হয়েছে। কুয়েটে এ ঘটনায় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের পাশাপাশি সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ দিয়ে বিভিন্ন ভবনের নাম পরিবর্তন করেছে, যা নিয়ে সমালোচনা চলছে। ছাত্র রাজনীতি এবং প্রশাসনিক কাঠামো নিয়ে জল্পনা চলছে, এবং অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক প্রভাব বা পরিবর্তনের অভাবের প্রতি মন্তব্য করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাজনীতির প্রভাব এবং কর্তৃত্ববাদী পরিবেশ নিয়ে গভীর প্রশ্ন উঠেছে, এবং এটি সমাজে নতুন ধরনের ফ্যাসিবাদী প্রবণতার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এবং ছাত্র রাজনীতি থেকে মুক্তির জন্য অনেক শিক্ষার্থী আন্দোলন করছে, কিন্তু পুরোনো কাঠামো এখনও দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক পরিবেশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন