সিআইএতে গণছাঁটাই: ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাহী আদেশের প্রতিফলন

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ তাদের অনির্দিষ্টসংখ্যক কর্মীকে চাকরিচ্যুত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই কর্মীরা মূলত রিক্রুটিং এবং ডাইভারসিটির সঙ্গে যুক্ত। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সিআইএ’র ইতিহাসে এটি একটি বড় ধরনের কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা হতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের জনশক্তিতে বৈচিত্র্যের সন্নিবেশ নিষিদ্ধ করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশ সই করেছিলেন। সিআইএ কর্তৃক কর্মী ছাঁটাইয়ের এই উদ্যোগকে সেই আদেশেরই প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার সিআইএ বাধ্যতামূলক প্রশাসনিক ছুটিতে থাকা কর্মকর্তাদের অফিসে ডেকে এনে তাদের পদত্যাগ করতে বলা হয়। যদি তারা পদত্যাগ না করেন, তবে বরখাস্ত করা হবে। তবে একটি ফেডারেল আদালত দ্রুত এই পদক্ষেপ স্থগিত করে। আগামী সোমবার ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব ভার্জিনিয়ার একজন বিচারক এই বিষয়ে শুনানি করার কথা রয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলিদের মতে, সিআইএর পরিচালক জন র্যাটক্লিফ আরও কর্মী ছাঁটাই করতে পারেন। তবে কর্মীদের পক্ষের আইনজীবী কেভিন ক্যারল জানান, এটি বরখাস্তের শুরু মাত্র এবং ভবিষ্যতে আরও কর্মী ছাঁটাই হতে পারে।
গোয়েন্দা সংস্থার নীতিতে পরিবর্তন আনতে প্রেসিডেন্টরা মাঝেমধ্যে এমন নির্বাহী আদেশ দেন। তবে আগের প্রশাসনের অগ্রাধিকারমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সরাসরি বরখাস্ত করা একটি বিরল ঘটনা। এর আগে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সিআইএর ইন্টারোগেশন প্রোগ্রাম বাতিল করলেও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বরখাস্ত করেননি।
সর্বশেষ ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার সিআইএ থেকে বড় ধরনের কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত সিআইএর কার্যক্রমে কী প্রভাব ফেলবে, তা আদালতের রায়ের পরই স্পষ্ট হবে।
আপনার মতামত লিখুন