আবাসন খাতে স্থবিরতা চরমে পৌঁছেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ
আবাসন খাতে স্থবিরতা চরমে পৌঁছেছে।

দেশের আবাসন খাতে স্থবিরতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে প্লট, ফ্ল্যাট ও বাড়ি বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে এবং নতুন বিনিয়োগও হচ্ছে না। অনেক আবাসন প্রতিষ্ঠান লাভ ছাড়াই প্লট ও ফ্ল্যাট ছেড়ে দিচ্ছে, এবং কর্মীদের বেতন দিতে অসচ্ছল হচ্ছে। ২০২৩ অর্থবছরে আবাসন খাত বাংলাদেশের জিডিপিতে প্রায় ৮ শতাংশ অবদান রেখেছিল, কিন্তু এখন নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এটি বিপর্যয়ের সম্মুখীন।

জমির অভাব, নগর পরিকল্পনার অপ্রতুলতা এবং নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির কারণে আবাসন খাত আরও সংকটে পড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবও খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ছোট ও মাঝারি ফ্ল্যাট বিক্রিতে ২০-২৫% কমতি হয়েছে, বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বিক্রি ৫০% কমেছে। এর ফলে ছোট আবাসন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংকট বাড়ছে এবং নির্মাণ ব্যয় প্রায় ২৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্লট ও জমি বিক্রির পরিমাণও কমে গেছে, এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। এখন, আবাসন খাতের পুনরুদ্ধারের জন্য নতুন পরিকল্পনা ও দীর্ঘমেয়াদি গৃহঋণ ব্যবস্থা প্রয়োজন। সরকার যদি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য নীতি সহায়ক ব্যবস্থা নেয়, তবে পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার হতে পারে।