নারীর অর্জন রক্ষা করতে তাদের নিরাপত্তা জরুরি।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:২০ অপরাহ্ণ
নারীর অর্জন রক্ষা করতে তাদের নিরাপত্তা জরুরি।

দীর্ঘ আন্দোলন এবং নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে নারী সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে এবং অনেক অর্জনও হয়েছে। তবে, নানা স্থানে—যানবাহন, খেলার মাঠে—নারীরা এখনও সহিংসতার শিকার হচ্ছে। নারীর অর্জন ধরে রাখতে তাদের নিরাপত্তা সবার আগে নিশ্চিত করা জরুরি। মঙ্গলবার প্রথম আলো আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।

‘নারীর লড়াই, নিরাপত্তা, নেতৃত্ব ও সমাজের বাধা’ শীর্ষক এই বৈঠকটি ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা ধর্ষণসহ নারী নির্যাতন বন্ধ এবং নারী নেতৃত্বের বিকাশের জন্য পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন ও সাংস্কৃতিক সচেতনতা তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন। তাঁরা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে নারী বিষয়ক নীতির প্রতি আরও সচেতন হতে হবে, যাতে নারীরা নির্বাচনকালে দলটির অবস্থান দেখে ভোট দিতে পারেন।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন হক বলেন, নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করার জন্য সুপারিশ তৈরি করা হবে, তবে সেগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে তা এখনো অনিশ্চিত। তিনি আরও বলেন, নারীর নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এ জন্য দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর প্রয়োজন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারীর নিরাপত্তার জন্য সহিংসতামুক্ত পরিবেশ, সুষম আইন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকারের গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, নারীর ব্যক্তিগত অধিকার উপেক্ষিত হওয়ায় আইন কার্যকর হতে পারছে না। নারীপক্ষের সভাপতি গীতা দাস ধর্ষণ রোধে আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেন।

বৈঠকে তাসলিমা আখতার বলেন, নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নারীর নিরাপত্তার বিষয়টি সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে না। শিক্ষাবিদরা বলেন, নারীর নেতৃত্ব বিকাশের জন্য রাজনীতি, খেলা এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আরও কাজ করতে হবে।

এছাড়া, অনেক বক্তা বলেন, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্বের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে নারীরা সমাজে পূর্ণ মর্যাদা ও সমতা অর্জন করতে পারে।