গোলটেবিল বৈঠকে প্রতিবন্ধী শিশুদের একীভূত শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু সামিয়া আক্তার বর্তমানে নরসিংদীর ভেলানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত সে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে বাইরে খেলাধুলা করতে বা চলাফেরা করতে পারত না। তবে, এক শিক্ষকের সহায়তায় তার শারীরিক থেরাপি এবং পড়াশোনার মাধ্যমে তাকে স্কুলে ভর্তির উপযুক্ত করে তোলা হয়। এখন সে নিজেই স্কুলে আসা-যাওয়া করতে পারে। সামিয়া একীভূত শিক্ষার সফল উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে। গতকাল সাইটসেভার্স ও প্রথম আলো আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তার দাদি রহিমা বেগমের সঙ্গে সামিয়া উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, অনেক প্রতিবন্ধী শিশু পরিবার ও সমাজের উদাসীনতার কারণে মূলধারার শিক্ষায় অংশ নিতে পারে না। একীভূত শিক্ষার জন্য তাদের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, সহায়ক উপকরণ, প্রশিক্ষিত শিক্ষক ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুর সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ ২৪ হাজার ২৮৮, এর মধ্যে ২ লাখ ৭ হাজার ৮৫৮ জন মেয়ে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করে প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে হবে।
বৈঠকে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের পরিচালক ফজলে ছিদ্দীক মো. ইয়াহিয়া, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফরহাদ আলম, এবং সাইটসেভার্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিওসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা বক্তব্য দেন। তারা বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের প্রয়োজন এবং সঠিক উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি।
আপনার মতামত লিখুন