রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: মার্কো রুবিও

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার সম্ভাবনা সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা ইউক্রেন সংকটের সমাধান পরবর্তী সময়ে বাস্তবায়িত হতে পারে। ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ব্রেইটবার্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, মস্কো এবং ওয়াশিংটন দুই দেশের কূটনৈতিক মিশনের কার্যক্রম নিশ্চিত করার পর এবং ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান হলে তারা অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক আলোচনা শুরু করতে পারে।
রুবিও বলেন, “যদি ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর দিকে দেশগুলো সত্যিই সিরিয়াস হয়, তবে আমাদের বসে আলোচনা করা উচিত।” তিনি আরও বলেন, “এটি হবে তৃতীয় ধাপ—যতটা সম্ভব আমরা একসাথে কাজ করতে পারি, ভূ-রাজনৈতিক কিংবা অর্থনৈতিকভাবে, সেজন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।”
এদিকে, ২০২৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি ডিক্রি সই করেন, যা ‘অবন্ধুসুলভ’ দেশগুলোর কোম্পানির সম্পদ সাময়িকভাবে অধিগ্রহণ করার সুযোগ দেয়। ২০২৪ সালের অক্টোবরে, রাশিয়া মার্কিন মালিকানাধীন গ্লাভপ্রোডাক্ট নামক প্রধান খাদ্য উৎপাদনকারীর সম্পদ জাতীয়করণ করে।
যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক বর্তমানে ঐতিহাসিকভাবে তলানিতে নেমে গেলেও, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা দেখিয়েছেন। তিনি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ইউক্রেন সংকটের সমাধান এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ অনুসন্ধানের গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। ট্রাম্প এরপর ইঙ্গিত দেন যে, যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর খনিজ খাতে যৌথ উদ্যোগের সুযোগ খুঁজতে পারে এবং ইউক্রেন সংকটের সমাধান হিসেবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলি এক পর্যায়ে প্রত্যাহার হতে পারে।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও জানিয়েছেন, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে “বড় ধরনের” যৌথ অর্থনৈতিক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করছেন, বিশেষ করে রাশিয়ার বিরল শিল্পগুলোর বিকাশে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে।
আপনার মতামত লিখুন