ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বর্তমান সংবিধানকে বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা যুক্তিসংগত নয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:২৬ অপরাহ্ণ
ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বর্তমান সংবিধানকে বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা যুক্তিসংগত নয়।

বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা এবং গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন মনে করেন, বর্তমান সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা ভুল হবে। তিনি বলেন, এই সংবিধান দীর্ঘদিন ধরে দেশ পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে এবং জনগণ এটি মেনে নিয়েছে, তাই এটি পরিবর্তন করা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরও মন্তব্য করেন যে, সংবিধানের পরিবর্তন বা সংশোধন সম্ভব হলেও তা শুধুমাত্র ব্যাপক আলোচনার এবং জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে হতে পারে।

তিনি বলেন, একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন কোনও সংস্কার নয়, বরং সংবিধানকে ধ্বংস করার পথ হতে পারে। ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, ৫ আগস্টের অভিজ্ঞতা থেকে এটি স্পষ্ট যে জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করা সম্ভব নয়, এবং সংবিধানের যে কোনো পরিবর্তন বা সংশোধন দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, যিনি সংবিধানে বিস্তৃত সংশোধনীর বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতায় থাকার জন্য পরিস্থিতি প্রস্তুত নয়। অন্যদিকে, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা সংবিধানে থাকা উচিত, কারণ এর অভাব ধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থান ঘটাতে পারে।

গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি সুব্রত চৌধুরী সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান। এছাড়া, বিভিন্ন বক্তা সংবিধান সংশোধনের জন্য জাতীয় ঐকমত্যের ওপর জোর দেন।