নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে দেশের মধ্যে সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই আন্দোলন সমাজে দায়বদ্ধতা তৈরি করেছে এবং নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে কাজ করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। শিরীন পারভীন হক আজ বৃহস্পতিবার গুলশানের একটি হোটেলে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হবে সব ক্ষেত্রে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করা এবং নারী-পুরুষের জেন্ডার বৈষম্য কমানোর জন্য কাজ করা।”
তিনি আরও বলেন, নারী উন্নয়ন ও অধিকার নিশ্চিত করতে অন্যান্য সংস্কার কমিশনে নারীর অধিকারের গুরুত্ব দিতে হবে। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্দোলনে নারীদের নেতৃত্বের ভূমিকাও স্বীকার করেন, কিন্তু একই সময়ে তিনি নারী নেতাদের পেছনে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এছাড়া, সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর প্রতি নারীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। আরও বলেন, নারীদের সুরক্ষা, অবৈতনিক কাজের স্বীকৃতি, এবং সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে তিন নারীকে ‘নাসরীন স্মৃতিপদক ২০২৫’ পুরস্কৃত করা হয়, যাদের মধ্যে ডনাইপ্রু নেলী, রিনা খাতুন ও আফরোজা খন্দকার রয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন