পিকেকে বিলুপ্ত করার আহ্বান জানালেন বিদ্রোহী নেতা আবদুল্লাহ ওচালান, ৪০ বছরের সংঘাতের সমাপ্তি চেয়েছেন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৫৩ অপরাহ্ণ
পিকেকে বিলুপ্ত করার আহ্বান জানালেন বিদ্রোহী নেতা আবদুল্লাহ ওচালান, ৪০ বছরের সংঘাতের সমাপ্তি চেয়েছেন

নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) বিলুপ্ত করে তুরস্ক রাষ্ট্রের সঙ্গে ৪০ বছর ধরে চলা সংঘাতে অবসানের ঐতিহাসিক আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্রোহী নেতা আবদুল্লাহ ওচালান। তিনি সংগঠনের সদস্যদের অস্ত্র জমা দিতে বলেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তুরস্কের কুর্দিপন্থী ডিইএম পার্টির এমপিরা ওচালানের সঙ্গে তার নির্জন কারাগারে সাক্ষাৎ করতে যান, যেখানে তিনি পিকেকে সংগঠনটি চিরতরে বিলুপ্ত করার আহ্বান জানান।

কারাগার থেকে লিখিত এক বার্তায় ওচালান বলেন, “এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে তুর্কি ও কুর্দিরা নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে এবং আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বেঁচে থাকার জন্য একজোট হওয়া প্রয়োজন মনে করেছে।” তিনি আরও জানান, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলন পার্টির নেতা দেভলেত বাহচেলির আহ্বান এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখে তিনি এই ঐতিহাসিক দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছেন।

ওচালানের এই আহ্বান ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারে এবং হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি রুখতে সাহায্য করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৭৫ বছর বয়সী ওচালান ১৯৯৯ সাল থেকে তুরস্কের ইমরালি দ্বীপে বন্দি রয়েছেন এবং পিকেকে’র ওপর এখনও যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করছেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পিকেকে’র নেতৃবৃন্দ ওচালানের আহ্বানে সাড়া দেবেন, তবে কিছু উপদল প্রতিরোধ করতে পারে।

১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত পিকেকে ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে, এবং এই গোষ্ঠীটিকে তুরস্ক ও তার পশ্চিমা মিত্ররা সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে। সর্বশেষ ২০১৫ সালে পিকেকে’র সঙ্গে শান্তি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।