গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করে ঐক্য রক্ষা করতে চায়।

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক, আবু বাকের মজুমদার সভায় বলেন, “আমরা ছাত্ররাজনীতি নয়, বরং লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলাম। জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের পর যে সহাবস্থানের রাজনীতি গড়ে উঠেছে, আমরা তার পক্ষে। আমরা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বাইনারি পলিটিক্সের বাইরে গিয়ে, ছাত্রদের ও জনগণের জন্য একটি নতুন রাজনীতির প্রস্তাব করেছি। আমরা আশাবাদী যে, মধ্যপন্থী রাজনীতির মাধ্যমে সবাইকে বাংলাদেশের বিষয়টিতে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারব।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক, আবদুল কাদের সভায় বলেন, “আজ আমি আবেগপ্রবণ। আজ সব ছাত্রসংগঠনের নেতারা একত্রিত হয়ে বসেছেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সংগ্রাম করেছিলাম। আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ ক্যাম্পাস গড়ে তুলব, যেখানে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। আমরা বিভাজনের রাজনীতি চাই না, একসাথে কাজ করে আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠন করব।”
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র, আশরেফা খাতুন বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক সহাবস্থান তখনই থাকবে, যখন আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকব এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও মুক্তির জন্য রাজনীতি করব।” তিনি বলেন, “ভুল করলে সমালোচনা করুন, কারণ সেগুলি আমাদের পথচলায় সহায়ক হবে।”
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি, মেঘমল্লার বসু বলেন, “বিরাজনীতিকরণ কোনো সমাধান নয়। অভ্যুত্থানের সাত মাসে নানা বিভাজন হয়েছে, কিন্তু আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় একসাথে হতে হবে।”
ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মানসুরা আলম বলেন, “নবগঠিত ছাত্রসংগঠন ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের বিপরীতে মুক্তির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক, মহিউদ্দীন খান বলেন, “জুলাই আন্দোলনে সবাইকে কথা বলার ও মতামত প্রকাশের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান ছিল।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা।
আপনার মতামত লিখুন