জিআই স্বীকৃতির পর বগুড়ার দইয়ের বিক্রি বেড়েছে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫, ৫:৩২ অপরাহ্ণ
জিআই স্বীকৃতির পর বগুড়ার দইয়ের বিক্রি বেড়েছে

বগুড়ার দই, যা খাদ্য রসিকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়, সম্প্রতি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) স্বীকৃতি পাওয়ার পর দেশ-বিদেশে এর চাহিদা আরও বেড়েছে। বর্তমানে, বগুড়ার বিভিন্ন শোরুমে দই বিক্রির হিড়িক পড়েছে এবং সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের নানা অঞ্চলে প্রতিদিন দই যাচ্ছে। যদিও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা দইয়ের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বর্তমানে বগুড়া শহরসহ জেলার প্রায় ৪০০টি কারখানায় দৈনিক গড়ে ১৫০-২০০ টন দই উৎপাদিত হয়, যা ৫০০টিরও বেশি বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রি হয়। বিশেষত ঈদ বা উৎসবের সময়ে এই চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে থাকে। বগুড়ার দোকানগুলোতে টক, মিষ্টি দই ও ক্ষীরশার পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে।

বগুড়ায় দৈনিক প্রায় ৪ কোটি টাকার দই বিক্রি হয়, যার বার্ষিক বাজার মূল্য প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর সাথে মিষ্টির বাজারও ৩০০-৫০০ কোটি টাকার ওপরে দাঁড়িয়েছে। দইয়ের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে মাটির সরা ও হাঁড়ির বিক্রি বেড়েছে, যার মূল্যও কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

বগুড়ার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, বর্তমানে জেলায় দৈনিক প্রায় ১৮ লাখ লিটার দুধ উৎপাদিত হয়, যা দই ও মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

এছাড়া, বগুড়ার প্রতিষ্ঠান এশিয়া সুইট-এর নুরুল বাশার চন্দন জানান, তাদের দই ও মিষ্টির চাহিদা এখন দেশব্যাপী। আর আকবরিয়া লিমিটেডের মো. হাসান আলী আলাল জানান, তাদের তৈরি দই ইতিমধ্যে আমেরিকাসহ বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে। তবে খাদ্যমান ঠিক রাখার সমস্যা এবং রপ্তানি আইন শিথিল হলে তারা আরও বেশি দই রপ্তানি করতে পারবে, যা বগুড়ার দইকে আন্তর্জাতিক বাজারে আরও জনপ্রিয় করবে।

এভাবে বগুড়ার দই, যা ২০২৩ সালে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে নিজের জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হবে, এবং এর বিক্রিও আগের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পাবে।