কোটা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সম্মেলন করবে ছাত্র অধিকার পরিষদ।

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত বা আহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ে ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয় নিয়ে সোমবার জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত বা আহতদের পরিবারকে কোটা সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা বৈষম্য নিরসনে ২০১৮ সালে শুরু হওয়া আন্দোলনের পরিপন্থী। ২০২৪ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে আবার আন্দোলন শুরু হয়, কিন্তু মাত্র সাত মাসের মধ্যে সরকার এই কোটা পুনরায় চালু করেছে।
তিনি স্পষ্ট বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা ব্যবস্থা থাকা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, তরুণরা এবং জনগণই কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং বৈষম্যমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।
বিন ইয়ামিন মোল্লা জানান, সরকার এখনও রেলওয়ে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটা বাতিলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে নতুন কোটা ব্যবস্থা চালু করেছে। তিনি বলেন, ছাত্রদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং যদি কোটা ব্যবস্থা না বাতিল করা হয়, তাহলে ছাত্র অধিকার পরিষদ আরও কঠোর আন্দোলন শুরু করবে।
আপনার মতামত লিখুন