মিয়ানমারে পাকিস্তানি যুবকদের বন্দী করে জোরপূর্বক শ্রমে নিযুক্ত: ১১ জন পালিয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশ

মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পাঁচ শতাধিক পাকিস্তানি যুবককে বন্দী করে রাখা হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশ কয়েক ডজন নারীও রয়েছেন। সোমবার (৩ মার্চ) জিও নিউজের প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি যুবকদের অপহরণ করে তাদের থাইল্যান্ডে চাকরির প্রলোভন দেখানো হয়। এরপর তারা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে পাড়ি দেয় এবং সেখান থেকে অবৈধভাবে মিয়ানমারের বিপজ্জনক অঞ্চলে পাচার করা হয়। তাদের পাসপোর্ট জব্দ করা হয় এবং মিয়ানমারে জোরপূর্বক শ্রম শিবিরে বন্দী করা হয়। এসব যুবকের বেশিরভাগই উচ্চশিক্ষিত এবং তাদের নানা অপরাধে বাধ্য করা হচ্ছে, যেমন ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, অনলাইন কেলেঙ্কারি এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি-সম্পর্কিত অবৈধ কার্যকলাপ।
প্রতিবেদনটি আরো জানায়, বন্দীদের উপর ব্যাপক নির্যাতনসহ বিনা বেতনে জোরপূর্বক শ্রমের কাজ করানো হচ্ছে এবং তাদের পরিবার সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
এমন পরিস্থিতিতে, ১১ জন পাকিস্তানি বন্দী শিবির থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হয়। তবে তাদের মধ্যে পাঁচজন নদীতে ডুবে যায় এবং ছয়জন থাইল্যান্ডের ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পেরেছে। পরে পাকিস্তান দূতাবাসের হস্তক্ষেপে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
থাইল্যান্ডে পাকিস্তানের হাইকমিশনার রুখসানা আফজাল জানান, মিয়ানমারে বন্দী সকল পাকিস্তানিকে উদ্ধারে সক্রিয়ভাবে কাজ করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে জানানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন