ফলকার টুর্কের দায়ীদের সুবিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫, ৭:২৬ অপরাহ্ণ
ফলকার টুর্কের দায়ীদের সুবিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার গুরুতর অপরাধ করেছে। এই অপরাধগুলো সংঘটিত হয়েছিল সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের মাধ্যমে, যারা আন্দোলন দমন করে সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে চেয়েছিলেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুবিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত বুধবার, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনায় ফলকার টুর্ক এসব কথা বলেন। তিনি প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর, আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা, যেমন ফারহানা শারমিন (ইনু) এবং মীর মাহমুদুর রহমান, ন্যায়বিচারের দাবিতে তাদের বক্তব্য রাখেন।

ফলকার টুর্ক বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণ কঠিন হলেও, সব রাজনৈতিক দল এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সারা বিশ্বকে আশাবাদী করে তোলা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সামনে একটি বিরল সুযোগ এসেছে, যেটি কাজে লাগানোর জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনী পদ্ধতিগতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, যাতে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হন। ফলকার টুর্ক এসব অপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় স্তরে প্রচেষ্টা চলমান রাখার তাগিদ দিয়েছেন।

আলোচনায় বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, বাংলাদেশ একটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আইসিটি আইন সংশোধন করা হয়েছে। তিনি সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গে বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা কোন ধর্মীয় সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে ছিল না, বরং বেশিরভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন ছিল।

এছাড়া, আলোচনা শেষে মীর মাহমুদুর রহমান তার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, শুধু যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের নয়, যারা নির্দেশনা দিয়েছিল, তাদেরও বিচার করতে হবে।