হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর রিমান্ড, ১৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫, ৮:১২ পূর্বাহ্ণ
হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর রিমান্ড, ১৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

গুলশান থানার একটি হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৫ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এসব আদেশ দেন। গুলশান থানায় করা আরজু শেখ হত্যা মামলায় শামসুদ্দিন চৌধুরীকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সকালে আনিসুল হকসহ অন্যদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে এবং তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো অপর আসামিরা হলেন—পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহম্মেদ মজুমদার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম, একাত্তর টিভির সাবেক সাংবাদিক শাকিল আহম্মেদ ও তার স্ত্রী ফারজানা রুপা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদ ইসলাম, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী সিরাজুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, আওয়ামী লীগ সদস্য রাতুল, লালবাগ থানা আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ালিউল্লাহ ও শেখ মোহাম্মদ আলী লাড্ডু।

আইনজীবী ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় আনিসুল হক, শাজাহান খান, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, আবুল হাসান, ফারজানা রুপা, শাকিল আহম্মেদ, মুজাহিদ ইসলাম, তানভীর হাসান সৈকত ও আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এছাড়া, মিরপুর থানার মামলায় কামাল আহম্মেদ মজুমদার, খিলগাঁও থানার মামলায় তাজুল ইসলাম, লালবাগ থানার মামলায় সোলায়মান সেলিম, হাজী সিরাজুল ইসলাম, ওয়ালিউল্লাহ ও রাতুল এবং পল্লবী থানার মামলায় শেখ মোহাম্মদ আলী লাড্ডুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১৩ আগস্ট আনিসুল হক গ্রেপ্তার হন। এরপর বাকিরাও গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।