বিশ্ব অর্থনীতি মহামন্দার হুমকির মুখে!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো ও কানাডার সব পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে কানাডা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাব পড়েছে চীন ও ভারতেও, এবং ইউরোপও এর আওতায় আসতে পারে। এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতি একটি নতুন বাণিজ্যযুদ্ধে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) সতর্ক করেছে যে, এই শুল্কযুদ্ধ যদি চলতে থাকে, তবে বিশ্ব অর্থনীতি ১৯৩০ সালের মহামন্দার মতো সংকটে পড়তে পারে।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ শুধু বিশ্বের দেশগুলোর জন্যই হুমকি নয়, বরং মার্কিন অর্থনীতির জন্যও ক্ষতিকর প্রমাণিত হচ্ছে, কারণ শেয়ার বাজারে ধস এসেছে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে নির্বাচনে বিজয়ের পর থেকেই বাজারে শুল্ক আতঙ্কের ফলে ৩.৪ ট্রিলিয়ন ডলার মূলধন হারিয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, ৪ ফেব্রুয়ারি চীনের ওপর শুল্ক আরোপের পরেই বাণিজ্যযুদ্ধের ঝুঁকি বেড়ে যায়, যা মেক্সিকো ও কানাডার ওপর শুল্ক আরোপের মাধ্যমে পূর্ণতা পায়। কানাডা ও মেক্সিকো ইতোমধ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ শুরু করেছে, এবং চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও এই শুল্কযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, শুল্কযুদ্ধের ফলে বিশ্ব বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে এবং মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাবে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে বিনিয়োগ কমে যাবে, যা পৃথিবীজুড়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশ, যা বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত, শুল্কযুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, বিশ্বব্যাপী শুল্ক বৃদ্ধি অভ্যন্তরীণ বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে, যার ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে এবং বাংলাদেশের মতো রপ্তানি নির্ভর দেশগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আপনার মতামত লিখুন