এনআইডির মালিকানা নিয়ে বিতর্ক: স্বাধীন ডেটা অথরিটির পথে বাংলাদেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৫:৪৮ অপরাহ্ণ
এনআইডির মালিকানা নিয়ে বিতর্ক: স্বাধীন ডেটা অথরিটির পথে বাংলাদেশ

বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে থাকলেও ভবিষ্যতে এটি স্বাধীন ডেটা অথরিটির অধীনে পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি ভবনে ‘এনআইডির ওনারশিপ’ শীর্ষক এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের অধীনে বর্তমানে ৩৫ বা তারও বেশি ধরনের তথ্য রয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, ভোটাধিকার বাস্তবায়নের জন্য এত তথ্যের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু। এই বিষয়টি যৌক্তিক ও কারিগরি দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সরকার একটি স্বাধীন ডেটা অথরিটির পরিকল্পনা করছে, যা ভবিষ্যতে সমস্ত তথ্য নিয়ন্ত্রণ করবে। তবে নির্বাচন কমিশনের আইটি সেল, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং কারিগরি সক্ষমতা অব্যাহত থাকবে, কেবলমাত্র ডেটার নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে নতুন অথরিটির অধীনে আসবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে যে, নতুন ডেটা অথরিটি বৈশ্বিক মান অনুযায়ী গঠিত হবে এবং এটি কোনো প্রতিষ্ঠানের তথ্য ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। বরং সকল তথ্য আরও সুরক্ষিত হবে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরও সুসংহত হবে।

এদিকে, এনআইডি নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিগত সরকার এনআইডি সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেওয়ার উদ্যোগ নিলেও পরবর্তীতে এটি নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে নতুন উদ্যোগ হিসেবে এনআইডি পরিচালনার জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা নিয়ে কমিশনের কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি জানান, গত ৫ মার্চ এনআইডি ইসির অধীনে রাখার দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে কোনো সুস্পষ্ট প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাই পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৩ মার্চ সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সারা দেশের নির্বাচন কমিশন কার্যালয়গুলোতে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। যদি এরপরও কোনো সাড়া না পাওয়া যায়, তাহলে কর্মবিরতিতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।